বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামে সশস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩৮ জন। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে খুবই ভয়াবহ হামলা এটি। গত শনিবার দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার রাতভর নাইজার সীমান্তসংলগ্ন ইয়াগহা প্রদেশের সোলহান গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা অনেক ঘরবাড়ি ও বিপণিবিতান পুড়িয়ে দিয়েছে। খবর বিবিসির
এখনও কোনো গোষ্ঠী এ সহিংসতার দায় স্বীকার করেনি। তবে দেশটিতে বিশেষত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীদের হামলা প্রায়ই হয়। বুরকিনা ফাসোর সরকার হামলাকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেছে। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বছরের শুরু থেকে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। হামলার শিকার হচ্ছে বুরকিনা ফাসোর একাংশ, মালি ও নাইজারের সাধারণ লোকজন। সহিংসতা ও হামলায় গত দুই বছরে বুরকিনা ফাসোয় ১১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। হামলা থেকে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী মালি থেকে আসা ২০ হাজারের মতো শরণার্থীকেও আশ্রয় দিয়েছে দেশটি।
বিবিসি জানায়, গত মাসে বুরকিনা ফাসোর পূর্বাঞ্চলে এক হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হন। সশস্ত্র এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সে মাসেই বড় ধরনের অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। সাহেল অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় মালি, চাদ, মৌরিতানিয়া, নাইজার ও বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী।
সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি