ওমান উপসাগরে ইরানের নৌবাহিনীর বৃহত্তম জাহাজ অগ্নিকাণ্ডের পর ডুবে গেছে

ইরানের নৌবাহিনীর বৃহত্তম জাহাজ আগুন লাগার পর ওমান উপসাগরে ডুবে গেছে, তবে জলযানটি সব ক্রু নিরাপদে সরে যেতে পেরেছেন।
গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে ইরানের আধা স্বায়ত্তশাসিত বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা ফার্স ও তাসনিম জানিয়েছে, রক্ষা করার সব ধরনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নৌবাহিনীর সরবরাহ জাহাজ খার্গ ডুবে গেছে।

জাহাজটিতে স্থানীয় সময় ভোররাত ২টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানিয়েছে ফার্স। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিল। পরে জাহাজটি হরমুজ প্রণালীর নিকটবর্তী ওমান উপসাগরের ইরানি বন্দর জাস্কের কাছে ডুবে যায়। সেখানেই নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে ছিল জাহাজটি।

‘জাহাজটিকে রক্ষার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় আর এটি ডুবে যায়,’ ফার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।

নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে জাহাজটিতে আগুন লাগার ঘটনা প্রথম জানানো হলেও তাতে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এপ্রিলে লোহিত সাগরে তাদের একটি জাহাজ আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল ইরান। সাভিজ নামের ওই জাহাজটিতে লিম্পেট মাইনেযোগে হামলা চালানো হয়েছিল বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে দুই আঞ্চলিক শত্রু ইরান ও ইসরাইলের বেশ কয়েকটি জাহাজ পরপর হামলার শিকার হয়েছিল। এসব হামলার জন্য স্পরস্পরকে দায় দিয়েছিল দেশ দুটি।

গত বছর ওমান উপসাগরে মহড়া চলাকালে একটি ইরানি যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র দুর্ঘটনাবশত অন্য আরেকটি যুদ্ধজাহাজে আঘাত হানে, তাতে ১৯ জন নাবিক নিহত ও আরও ১৫ জন আহত হয়েছিলেন।

হরমুজ প্রণালীর সঙ্গে সংযুক্ত ওমান উপসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ জ্বালানি তেল এ পথেই পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। এই উপসাগরে নিয়মিত নৌ-মহড়া পরিচালনা করে ইরান।

সংবাদ সূত্রঃ বার্তা সংস্থা রয়টার্স, ফার্স ও তাসনিম

Scroll to Top