বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৫৯৪ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (২ জুন) ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএমএ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী দিল্লি। এখানে ১০৭ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। এছাড়া বিহারে ৯৬ জন, উত্তরপ্রদেশ ৬৭, রাজস্থানে ৪৩ ও ঝাড়খণ্ডে ৩৯ মারা গেছেন। বাকি চিকিৎসকরা দেশটির অন্যান্য প্রবেশগুলোর। দেশটিতে ১২ লাখের বেশি চিকিৎসক থাকলে সংস্থাটির কাছে থাকা সাড়ে ৩ লাখ চিকিৎসকের রেকর্ড যাচাই করে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, চিকিৎসক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫১০ জন শনাক্ত হয়েছে। যা গত ৮ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু পর থেকে সর্বনিম্ন রেকর্ড। আর এসময় মারা গেছেন ২৭৯৫ জন। যা করোনা শনাক্তের তুলনায় কিছুটা বেশি।
এর আগে ১১ মে দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪২০০ জনের মৃত্যু হয়। ৭ এপ্রিল ৪১৯৪ জনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৩৫০ জনে।
এছাড়া ৬ মে দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ জন শনাক্ত হয়। এটি এখন প্রযন্ত দেশটি সর্বোচ্চ শনাক্ত। ৫ মে ৪ লাখ ১২ হাজার ৬১৮ জন শনাক্ত হয়। সবমিলিয়ে দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ১২০ জনে।
ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর প্রায় প্রতিদিনই ২ হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।