সদ্য সাবেক হওয়া মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেন পরমাণু স্থাপনায় হামলার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ইসরাইল তেহরানের হৃদয়ে আঘাত করেছে।
মোসাদ প্রধানের পদ থেকে ইয়োসি কোহেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে গোয়েন্দা সংস্থাটির দায়িত্ব সামলাবেন ডেভিড বারনিয়া। যিনি এর আগে মোসাদের ডেপুটি চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গতকাল মঙ্গলবার মোসাদের বিদায়ী প্রধান বলেন, আমরা ইরানের গভীর থেকে গভীরে প্রবেশে সক্ষম হয়েছি। আমরা দেশটির নানা স্পর্শকাতর তথ্যসংগ্রহ করেছি এবং উন্মুক্ত করেছি, যা ইরানের আত্মবিশ্বাস ও অহঙ্কারকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে সাফল্যের সঙ্গে শক্তিশালী বিস্ফোরণের বিষয়টি এ সময় তুলে ধরেন কোহেন।
‘ইরানের সামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি, এর পরিকল্পনা, সামরিক পারমাণবিক ক্ষেত্রে এর ক্ষমতা সংরক্ষণ, ইরানের জালিয়াতি এবং মিথ্যা আমরা পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি’, যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইরান-ইসরাইলের শত্রুতা নতুন নয়। মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুটি দেশের কথার লড়াই তো চলে অনবরত। এর মধ্যে সাইবার হামলা এবং গুপ্তহত্যার জন্য হামলাও থেমে নেই।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে বিস্ফোরণের পেছনেও ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদেহকে তেহরানের সড়কে বন্দুকধারীরা হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইসরাইলের হাত রয়েছে এমনটিই মনে করেন ইরানিরা। এমনকি এ হত্যার বদলা নেওয়া হবে এ কথাও বারবার বলেছেন ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা।
সংবাদ সূত্রঃ আনাদোলু