মধ্য প্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক আগ্রাসন চালাতে গিয়ে যে প্রচণ্ড প্রতিরোধ ও পরাজয়ের মুখে পড়েছে তার জের ধরে ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার তৎপরতা শুরু করেছে ইসরাইলের ‘চেইঞ্জ ব্লক’।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের রাজনীতিবিদদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ী তারা একটি জোটবদ্ধ মন্ত্রিসভা গঠন করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে নেতানিয়াহু ডানপন্থী ৩০টি আসনে বিজয়ী হয়েছে তবে সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এরপরও প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিন নেতানিয়াহুকে লিকুদ পার্টির প্রধান হিসেবে ২৮ দিনের মধ্যে সরকার গঠনের দায়িত্ব দেন। কিন্তু তিনি নতুন সরকার গঠনে ব্যর্থ হন এবং গত ৪ মে চূড়ান্ত সময়সীমা শেষ হয়েছে।
পরে প্রেসিডেন্ট রিভলিন মধ্যপন্থী ইয়েশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়াইর লাপিদকে সরকার গঠনের নতুন দায়িত্ব দেন। লাপিদের দল ১২০ আসনের সংসদে ১৭টি আসন পেয়েছে। জোট সরকার গঠনের জন্য তিনিও ২৮ দিন সময় পাবেন এবং বুধবার রাতে সে সময়সীমা শেষ হচ্ছে।
সরকার গঠনের বিষয়ে এখন ব্যাপক তোড়জোড় চলছে এবং ইসরায়েলের রাজনীতিবিদরা ৭১ বছর বয়সী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ১২ দিনের সংঘাতের পর মিশরের মধ্যস্থতায় যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে তা দৃশ্যত পরিপূর্ণভাবে কার্যকর রয়েছে।
ইসরায়েলে গত আড়াই বছরে চারবার সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু কোনও দল সরকার গঠনের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সেখানে স্থিতিশীল সরকার গঠন সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যদিয়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক যুগ পার করেছেন।