বিশ্বব্যাংকের পাকিস্তান প্রোগ্রামের সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেছেন, এমন হতে পারে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কাছ থেকেই সহায়তা নিতে হতে পারে পাকিস্তানকে। সম্প্রতি পাকিস্তানের দ্য নিউজ ডটকমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, \”২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি পাকিস্তানের দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ ২০ বছর আগে এমনটা অচিন্তনীয় ছিল। যে গতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বড় অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ। অন্য দিকে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে দুরবস্থা চলতে থাকলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চাইতে হতে পারে তাদের।\”
আবিদ হাসান বলেন, \”বর্তমান সরকারসহ পাকিস্তানের প্রতিটি সরকার ভিক্ষার থালা হাতে দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছে এবং বেড়াচ্ছে। আমরা এখন ডুবে আছি ঋণ আর রক্তস্বল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চক্রে। এই অবস্থা তত দিন পর্যন্ত চলবে, যত দিন না কোনো সরকার অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য কোনো আমূল সংস্কার হাতে নেয়।\”
আবিদ হাসান আরো বলেন, \”বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে পৃথকীকরণ, রাজনীতিতে অনির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বিলোপ এবং তাদের নেতাদের দেশের প্রতি একাগ্রতা। এটি আমাদের জাতীয় অহংবোধে আঘাত হানবে, তার পরও বলতে হয়, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও ঋণের বোঝা হ্রাসের একমাত্র উপায় হচ্ছে বাংলাদেশকে অনুকরণ করা। বুদ্ধিদীপ্ত অর্থনৈতিক ও মুদ্রাবিষয়ক নীতি অনুসরণ ব্যতীত উন্নতির অন্য কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই।\”
তিনি বলেন, \”পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতি তার নিজের দোষেই হয়েছে। অথচ পাকিস্তানের নেতারা স্বচ্ছন্দে এজন্য আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে দোষারোপ করে যাচ্ছে।\”
সংবাদ সূত্রঃ দ্য নিউজ ডটকম