বাজারদর কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের। ভোজ্যতেলটির ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তি মূল্য গতকাল দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটির পাম অয়েলের দাম ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে নানা বিধিনিষেধ এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের বাজারে দরপতন দেখা দিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া অন্য ভোজ্যতেলগুলোর বিক্রয় হ্রাসও দরপতনের জন্য দায়ী। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে বাজার আদর্শ পাম অয়েলের আগস্টের সরবরাহের চুক্তি মূল্য টনপ্রতি ৬ ডলার ৪ সেন্ট (২৫ রিঙ্গিত) বা দশমিক ৬১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৯৮৭ ডলার ৬৮ সেন্টে (৪ হাজার ৮৭ রিঙ্গিত) ঠেকেছে। এ দরপতনের মধ্য দিয়ে টানা তিন মৌসুমে পাম অয়েলের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি ভোজ্যপণ্যটির জন্য গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতনের ঘটনা।
আমস্পেক এগ্রির প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ১৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে পাম অয়েলের উল্লেখযোগ্য ক্রেতাদের থেকে ক্রয়াদেশ কমে আসার কারণে পণ্যটির রফতানির পরিমাণও হ্রাস পেতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।
একই সঙ্গে করোনা মহামারী প্রতিরোধে মালয়েশিয়ায় কঠোর বিধিনিষেধের কারণে মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে এসেছে। এতে আতিথেয়তা, রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাটারিং সার্ভিসে পণ্যটির ব্যবহার হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে আশঙ্কা করেন কুয়ালালামপুরভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।
সংবাদ সূত্রঃ বিজনেস রেকর্ডার