ফিলিস্তিনির গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসন প্রতিরোধে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো।
যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শুক্রবার গাজায় এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরো প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ও ঐশী বিজয়ে’ ফিলিস্তিনি জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর ‘বীরোচিত ও সাহসী’ ভূমিকার কারণে এ বিজয় অর্জিত হয়েছে।
সংঘাতে প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকে আর্থিক ও সামরিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ইসমাইল হানিয়া।
হানিয়া বলেন, জেরুজালেম আল-কুদস ও আল-আকসা মসজিদ রক্ষা করার লক্ষ্যে গাজা উপত্যকা প্রতিরোধ শুরু করেছিল এবং এর মাধ্যমে ইহুদিবাদী শত্রুকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এদিকে অপর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন- ইসলামি জিহাদের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু হামজা শুক্রবার গাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফিলিস্তিনিরা এবারের সংঘাতে অভূতপূর্বভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের ভিত কাঁপিয়ে দিতে পেরেছে। তিনি বলেন, “আমরা ইহুদিবাদী শত্রু ও তার বসতি স্থাপনকারী পালগুলোকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি।”
তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আপনার আমাদের বিজয়ের অংশীদার।”
হামজা বলেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা তাদের সামরিক শক্তির ‘সামান্য অংশ’ প্রদর্শন ও ব্যবহার করেছে মাত্র। গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ইহুদিবাদীদের হাত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ সংগ্রাম চলবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।আবু হামজা ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করার জন্য মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।