মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ পরিণত হয়েছে এখন সশস্ত্র প্রতিরোধে

তাদমাদাও এখন সাধারণ বিক্ষোভকারী নয়, তাকে এখন লড়তে হচ্ছে বিদ্রোহীদের সঙ্গে। শনিবার মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিনদাতে স্থানীয় মিলিশিয়াদের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। স্থানীয়রা বলছেন, এই মিলিশিয়ারা ক্ষমতা দখল করা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে শক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর অন্যতম ভারী লড়াই ছিলো এটি। সামরিক বাহিনী যখন নিরস্ত্র গণতন্ত্রপন্থীদের রাস্তায় হত্যা করতে ব্যস্ত ছিলো, তখনই শক্তি বাড়িয়ে নেয় এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠী। মিনদাতের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের অনেকেই জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে। শহরে এখনও ২০ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে। আমার বন্ধুর ৩ ভাগ্নি শার্পনেলের আঘাতে আহত হয়েছে। তারা এখনও কিশোরীও নয়।’

গত বৃহস্পতিবার মিনদাতে সামরিক আইন জারি করে জান্তা। তারা বলছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দমন করতেই এটি জারি করা হয়েছে। তবে শনিবারের সংঘর্ষ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জান্তা মুখপাত্র।

সেনা নিয়ন্ত্রিত মায়াবতী টেলিভিশন বলছে, ১ হাজারেরে মতো ব্যক্তি ছোট অস্ত্র ও বাড়িতে তৈরি গ্রেনেড নিয়ে সাম্প্রতিককালে সামরিকবাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে। ফলে সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্য মারা গেছে। মিনদাত বাংলাদেশ সংলগ্ন চীন রাজ্যের অন্তর্গত।

সংবাদ সূত্রঃ সিএনএন, রয়টার্স,

Scroll to Top