গাজা উপত্যকা থেকে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নিক্ষিপ্ত রকেট ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হেনেছে। একইসঙ্গে এসব রকেট তেল আবিবের আকাশ দিয়ে উড়ে গিয়ে আঘাত হেনেছে দূরবর্তী হাইফা ও নাজারেথ শহরেও।
গতকাল হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে, \”আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নতুন করে অসংখ্য রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানে ইসরাইলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।\”
কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের রকেটের আঘাতে তেল আবিবের তিনটি ভবন ধসে পড়েছে। এ সময় সাইরেনের প্রচণ্ড শব্দে গোটা নগরীতে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়।
ইসরাইলি দৈনিক হারেতজ জানিয়েছে, একটি ভবনে হামাসের রকেট আঘাত হানলে পাঁচ ইসরাইলি আহত হয়েছে। এ সময় সেখানে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত বুধবার মধ্যরাতে তেল আবিবের কেন্দ্রস্থল ও এর নিকটবর্তী বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় চারদিকে ব্যাপকভাবে সাইরেন বেজে ওঠে।
কোনও কোনও আরব বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুট থেকে বেন গুরিয়েন বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটগুলোকে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তত একটি এসেছিল ব্রাসেলস থেকে।
হাইফা ও নাজারেথ শহরেও হামাসের রকেটের আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। ইসরাইলের ‘অত্যাধুনিক’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ভেদ করে এসব রকেট ইসরাইলি ভূখণ্ডে আঘাত হানে।
পর্যবেক্ষকরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ৯৩ কিলোমিটার দূরের তেল আবিব শহরে রকেট নিক্ষেপের ঘটনাকে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিক পর্যায়ক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যায়ন করছেন। তারা বলছেন, দশকের পর দশক ধরে যে ফিলিস্তিনিদের একমাত্র হাতিয়ার ছিল গুলতি ও পাথর তারা আজ অত্যাধুনিক রকেট নিক্ষেপ করে ইসরাইলের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারছেন। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামীদের প্রতি ইরানের সুস্পষ্ট সমর্থনকে এক্ষেত্রে নিয়ামক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করছেন তারা।
সংবাদ সূত্রঃ আল-জাজিরা