সৈন্য সরাতে আফগানিস্তানে আমেরিকা আরও যুদ্ধবিমান পাঠাল। মার্কিন সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, হামলা এড়াতেই এই পরিকল্পনা।
আমেরিকা ছয়টি বি৫২ লংরেঞ্জ বোম্বার এবং ১২টি এফ১৮ ফাইটার প্লেন আফগানিস্তানে পাঠিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের প্রয়োজনেই ওই যুদ্ধবিমানগুলো পাঠানো হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সেনা প্রত্যাহারের জন্য এত যুদ্ধবিমান পাঠানোর কারণ কী? মার্কিন প্রশাসনের দাবি, ১ মে থেকে গোটা আফগানিস্তানে সহিংসতা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ফলে মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার মুহূর্তে যাতে তাদের ওপর আক্রমণ নেমে না আসে, তা দেখতেই ওই যুদ্ধবিমানগুলো পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, এ বছর ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত মার্কিন সেনা আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। দেশে ফিরবেন আড়াই হাজার সেনা এবং ১৬ হাজার সিভিল কন্ট্রাক্টর।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা। ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছে তারা। একই সঙ্গে লড়াই হয়েছে তালেবানের সঙ্গে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি করেন গত বছর। তাতে স্থির হয়েছিল, আপাতত তালেবান এবং আমেরিকা কেউ কাউকে আক্রমণ করবে না। ১ মে’র মধ্যে অ্যামেরিকা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নেবে।
ক্ষমতার একেবারে শেষ পর্বে ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছিলেন, ১ মে’র মধ্যে সমস্ত মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ন্যাটো তাতে খুশি হয়নি। ন্যাটোর দাবি ছিল, এত দ্রুত সেনা সরানো উচিত হবে না। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বদলে দেন। বাইডেন জানান, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেনা সরানো হবে। কিন্তু তালেবান জানিয়ে দেয়, আমেরিকার সঙ্গে তাদের চুক্তি মে পর্যন্ত হয়েছিল। ফলে এবার তারা মার্কিন সেনার ওপর আক্রমণ চালাতেই পারে।
গত কয়েক মাসে আফগান সেনার সঙ্গে তালেবানের তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। মার্কিন সেনার দাবি, দিনে ৮০ থেকে ১২০টি হামলা চালাচ্ছে তালেবান। তবে মার্কিন সেনাকে লক্ষ্য করে এখনও কোনও হামলা হয়নি বলে তাদের দাবি। কিন্তু আমেরিকা সতর্ক থাকতে চাইছে। যদি হামলা হয় এই আশঙ্কায় নতুন করে ফাইটার জেট পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে