ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফায় চলছে ৩৫ আসনে ভোট

গত ২৭ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি আসনে যে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) তার অন্তিম পর্য়ায়ের ভোট। আজ সকাল ৭টা থেকে রাজ্যে অষ্টম দফায় ভোট চলছে ৪ জেলার ৩৫টি আসনে।

এরমধ্যে রয়েছে মালদহ জেলার ৬টি আসন, মুর্শিদাবাদ জেলার ১১টি, বীরভূম জেলার ১১টি এবং কলকাতা জেলার ৭টি আসন।

পাশাপাশি এদিন ভোট নেওয়া হচ্ছে শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথেও। ১০ এপ্রিল কোচবিহার জেলার শীলতকুচির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনির বুলেটে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। তারপরই ভোটদান স্থগিত করেছিল কমিশন। অপরদিকে, এদিন মধ্য ও উত্তর কলকাতায় ভোট চলছে চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, মানিকতলা এবং বেলগাছিয়া কেন্দ্রে।

এ দফাতেও নিরাপত্তায় নুন্যতম ফাঁক রাখতে রাজী নয় নির্বাচন কমিশন। ৩৫টি ভোট কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৭৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর সঙ্গে আছে রাজ্য পুলিশের বিশাল বাহিনী। তবে শেষ দফায় নির্বাচন কমিশনের বড় চমক হলো বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করা হয়েছে। পাশাপাশি বীরভূমে সংবেদনশীল বেশি বুথ থাকায় ৬ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন।

অপরদিকে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ১৭ হাজারের বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। করোনার কবলে চলে যাওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বীরভূমসহ বাকি তিন জেলায় ভোট হিংসাকে রুখে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ভোট পরিচালনা করা।

ফলে আগের দফাগুলোর মতই করোনাবিধি মেনে ভোটারদের বুথে যাওয়ার অনুমতি মিলছে। ভোটারের মুখে মাস্ক ও হাতে ওয়ানটাইম গ্লাভস বাধ্যতামূলক। তাপমাত্রা মেপেই বুথের ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। অষ্টম দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১১ হাজার ৮৬০টি বুথে। সম্পূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া চলছে ইভিএমের মাধ্যমে।

তবে উল্ল্যেখযোগ্য বিষয় হলো-আগামী ২ মে ভারতের ৫ রাজ্যের ভোট গণনা। এর মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং এক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল পদুচেরী। তবে গোটা ভারতের চোখ থাকবে বাংলার রায়ের ওপর। কারণ এখানেই মোদী-অমিত শাহ-সহ বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতারা সবচেয়ে বেশি প্রচার করেছে। ফলে এখন দেখার বঙ্গবাসী কাকে বেছে নেয়। তৃণমূল, বিজেপি নাকি রাজ্যের তৃতীয় শক্তি সংযুক্ত মোর্চাকে। তা জান যাবে ২ মে।

Scroll to Top