জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম রাষ্ট্র পাকিস্তানেও বাড়ছে মহামারি করোনার আগ্রাসন। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৫৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনা। প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে গতকাল শনিবার।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেকর্ড মৃত্যুর পর দেশটিতে করোনায় মোট প্রাণহানি গিয়ে ঠেকেছে ১৬ হাজার ৯৯৯ জনে। একই সঙ্গে দেশটিতে করোনায় শনাক্ত মানুষের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হালনাগাদ হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানে সর্বাধিক ৯৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে পাঞ্জাবে। এরপর খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ৩৭, সিন্ধ প্রদেশে ১১, বেলুচিস্তানে ৩, ইসলামাবাদে ৫ ও আজাদ কাশ্মীরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত বছরের ২০ জুন পাকিস্তানে করোনায় ১৫৩ জনের মৃত্যু ছিল দেশটিতে মহামারি শুরুর পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর পরদিন ২১ জুন দেশটিতে মারা যান ১৪৮ জন। এরপর পাকিস্তানে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিছুদিন আগ পর্যন্ত ১১৮ জনের কম ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৫২ হাজার ৪০২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫ হাজার ৯০৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা সংক্রমিত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার ১৬ জন হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮৮ জন।
পাকিস্তানে দ্বিতীয় দফায় করোনার এই প্রকোপ বিবেচনায় সীমান্ত লাগোয়া ইরান দেশটির সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বাতিল করে দিয়েছে। এদিকে শনিবার একই দিনে পাকিস্তানের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব।
এদিকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধাক্কায় ধুঁকছে ভারত। টানা তিন দিন দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ পেরিয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সীমান্তপার থেকে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) এক টুইটবার্তায় ইমরান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিপজ্জনক ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় আমরা ভারতীয়দের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আমাদের প্রতিবেশী এবং বিশ্বের যে দেশগুলো এই মহামারিতে জর্জরিত, তাদের দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করছি। আমাদের অবশ্যই একত্রিত হয়ে এই বিশ্বব্যাপী সংকটের মোকাবিলা করতে হবে।’