দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের চতুর্থ দফায় উত্তপ্ত কোচবিহার জেলা। প্রাণহানি থেকে হামলা, সংঘর্ষ একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে শীতলকুচির কেন্দ্রে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছেন ৪ জন, আহত একাধিক। এই নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তারমধ্যেই মুখ খুলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ৩০০ থেকে চারশো মানুষ তাদের ঘিরে ধরে। ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তাদের অস্ত্র। পরিস্থিতি সামাল দিতেই আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় তারা। একজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, বাকি তিনজনকে হাসপাতাল মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত্যুর জন্য অনুশোচনা জানানো হয়েছে। দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই চারজনের। কমিশনের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্ভবত পুনরায় ভোট হবে ওই বুথে।
সকাল থেকেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে কোচবিহারে। ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত ছিল কোচবিহারের শীতলকুচি। সকালেই ভোটের লাইনে ১৮ বছরের এক যুবককে লক্ষ করে গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। তরুণ আনন্দ বর্মন প্রথমবারের ভোটার ছিলেন। ১৮ বছরের ওই যুবক বিজেপি সমর্থক বলে দাবি পরিবারের। তবে আনন্দ বর্মনকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।
নির্বাচন কমিশনের একাধিক পদক্ষেপ সত্ত্বেও ৪৪টি আসন থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। দুপুর একটা পর্যন্ত চতুর্থ দফায় ৫ জেলার ৪৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে ৪৫ শতাংশের মতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য আছে ১ লাখের ওপর। এছাড়া রয়েছে রাজ্য পুলিশ। তারই মধ্যে মৃত্যু ঘটলো ৫ জনের। একাধিক হিংসা ঘটনার মধ্যে ভোট চলবে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত।