দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারত। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অবিলম্বে দেশটিতে সব ধরনের অরাজকতা দূর করতে হবে। সাধারণ নাগরিকদের স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে গণতন্ত্র।
এ সময় আটক নেতাদের মুক্তি দিতে জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়। এদিকে মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে চীন। সব দল মিলিয়ে চলমান সমস্যা নিরসনের আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি। এর মধ্যেও দেশটিতে সামরিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩ শিশু নিহত হয়েছে- এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জান্তা সরকার। এসবের প্রতিবাদে গেরিলা যুদ্ধের ডাক দিয়েছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) মিয়ানমারে তারবিহীন ইন্টারনেট বন্ধ করার জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয় মিয়ানমারের সেনা সরকার। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার থেকে দেশটিতে শুধু ফাইবার লাইন চালু থাকবে। আর সব ধরনের ইন্টারনেট লাইন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কয়েক দফায় দেশটিতে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফাইবার লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য।
গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক সাধারণ মানুষ জান্তা সরকারের গুলিতে নিহত হয়েছেন।