পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি আসনে আট দফা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে। এ ভোটগ্রহণ চলবে টানা সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত।
প্রথম দফায় পাঁচ জেলা অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম মিলিয়ে মোট ৩০ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। এবারের ভোটে যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না হয় তার জন্য বাড়তি নজর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ৭৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ ৭৩ হাজার আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান প্রথম দফার ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্য পুলিশ থেকে নেওয়া হয়েছে ১১ হাজার ৪১৫ সশস্ত্র পুলিশবাহিনী। সব মিলিয়ে ৮৩ হাজারের বেশি নিরাপত্তাবাহিনী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা পশ্চিমবঙ্গের নিরীখে নজিরবিহীন।
এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সংযুক্ত মোর্চা, তৃণমূল এবং বিজেপি। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিলিয়ে ৩০টা কেন্দ্রে প্রার্থী রয়েছে ১৪০ জনের মত। আর এদের ভাগ্য নির্ধারণ করছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭০৮ জন ভোটার। এদের মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯৪ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ২১ জন। ভোটগ্রহণ চলছে ৩০টা কেন্দ্রের ১০ হাজার ২৮৮ বুথে। কিছু পোস্টাল ব্যালট ছাড়া সব ভোটই হবে ইভিএম-এর মাধ্যমে।
২০১৬ বিধানসভা নিরীখে এই ৩০টি আসনে বেশিরভাগ জয় পেয়েছিল তৃণমূল, দ্বিতীয় স্থানে ছিলো বাম-কংগ্রেস জোট।
অপরদিকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এই পাঁচ জেলায় বিজেপি তাদের শক্তিবৃদ্ধি করতে পেরেছিলো। ৪২টির মধ্যে যে ১৮টি আসন তারা পেয়েছিল তার সিংহভাগ এই সব আধিবাসী অধ্যুষিত এলাকা থেকেই জিতেছিল।
ফলে এবারের একুশের বিধানসভা নির্বাচন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। কারণ বিজেপি এবং তৃণমূল প্রচারে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি ছাড়েনি। তবে এই ৩০টা কেন্দ্র কার বা কাদের দখলে যাবে তা জানা যাবে ২ মে ভোট গণণার দিন। তবে গত রাতের পর অর্থাৎ ভোটগ্রহণ চলাকালীন এখনো অব্দি কোনো অশান্তি বা অপ্রীতিকর ঘটনা খবর পাওয়া যায়নি। সব রকম করোনাবিধি মেনেই চলছে ভোটগ্রহণ।