দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে কলিতা মাঝিকে। কলিতা বাড়িতে বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। তপশিলি জাতি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত আউশগ্রাম বিধানসভা। দীর্ঘদিন বামপন্থীদের দখলে ছিল আউশগ্রাম বিধানসভা। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের থেকে ছিনিয়ে বিধানসভায় গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অভেদানন্দ থান্ডার। এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তিনি।
এবার আউসগ্রাম আসনটিতে জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী বিজেপি। দরিদ্র পরিবারে মহিলা কলিতা মাঝিকে প্রার্থী করে বিজেপি সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েছিলেন কলিতা।
আউশগ্রাম বিধানসভার গুসকরা শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের মাছ পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা কলিতা মাঝি। স্বামী সুব্রত মাঝি কল মিস্ত্রির কাজ করেন। তাদের ১৪ বছরের ছেলে পার্থ ক্লাস এইটে পড়ে। স্বামীর একার উপার্জনে সংসার চলে না। তাই চারটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতে হয় কলিতাকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তখনও তিনি একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করছিলেন। প্রার্থী হিসেবে দল তাকে বেছে নিয়েছে জানতে পারার পর তিনি আপাতত কাজ থেকে ছুটি চেয়ে নেন। সেই বাড়ি থেকেই সোজা চলে যান দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে দলের কর্মী নেতারা তাকে বরণ করে নেন। কলিতা দেবীর দাবি, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির নীতি, আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে এলাকার স্থানীয় নেতাদের হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে বাপের বাড়ি কলিতা দেবীর। বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন। দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা বেশি দূর করতে পারেননি। সেই আফসোস থেকে গেছে মনের গভীরে। কলিতা জানান, বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সবার সমান অধিকারের জন্য লড়বেন। তিনি বলেছেন, আমি নিজে দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে লড়াই করেছি। ভোটে জিতে দরিদ্রের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করব।
বিজেপির জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে প্রার্থী তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে দল কলিতা দেবীকে প্রার্থী করেছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃ্ত্বের দাবি, আউশগ্রাম আসনে জয় এখন সময়ের অপেক্ষা।
এখন কর্মী বৈঠক করে,খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ওপর জোর দিতে চান আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কলিতা মাঝি।