ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমারের উত্তেজনা। দেশটিতে ঘোষিত সামরিক আইনের পরিসর বাড়িয়েছে জান্তা সরকার। গতকাল সোমবার (১৫ মার্চ) জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। এর মধ্যেই দেশটিতে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর দমন-পীড়নে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে থাকা নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে নেইপিদোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। তাদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থণা করেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও সোমবার রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
একই সঙ্গে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ। অবিলম্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে তারা সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
এমন অবস্থার মধ্যেই সোমবার মার্শাল ল\’ জারি করার পর জরুরি বৈঠক করেন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে সামরিক আইনের পরিসর বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন তারা। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
এদিকে চলমান আন্দোলনে নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে মিয়ানমারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। তবে নেইপিদোর বল প্রয়োগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি বেইজিং ।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমার সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবুও আমাদের নাগরিকরা যাতে সহিংসতার শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মিয়ানমারে পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন বহু আন্দোলনকারী।