উত্তর-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিকবার বৈঠকে বসলেও দুই রাষ্ট্রনেতা কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হননি। বরং বেশি নমনীয় আচরণ করায় ট্রাম্পের সমালোচনাও হয়েছিল। ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে বিদায় নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে কী নীতি গ্রহণ করবে এখনো তা স্পষ্ট নয়।
তবে আজ রবিবার সিএনএন খবর প্রকাশ করেছে, বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো উত্তর কোরিয়া সাড়া দেয়নি। উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গেও আলোচনা করেছে বাইডেন প্রশাসন।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার রাশ টেনে ধরতে নানা হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েও কাজ হয়নি। উল্টো উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতেও সক্ষম। বাইডেন প্রশাসন যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালিয়েছে সে বিষয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে রয়টার্স। উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের নীতি কী হবে তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।