এক ছিন্নমূল ভবঘুরে ঢুকে পড়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বহনকারী ব্যক্তিগত বিমান রাখার জায়গায়। শুধু ঢুকেই ক্ষান্ত হননি এই ভবঘুরে, তিনি পাঁচ ঘণ্টা ধরে সেখানে ঘুরেও বেড়িয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানের ঘাঁটিতে গত ফেব্রুয়ারিতে এ ঘটনা ঘটে। মার্কিন এয়ার ফোর্স গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিষয়টি স্বীকার করেছে।
দ্য এয়ার ফোর্সের ইন্সপেক্টর জেনারেলের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী জয়েন্ট বেজ অ্যান্ড্রুজে ঢুকে পড়েন। সেখানে টার্মাকে রাখা একটি সি–৪০ পরিবহন উড়োজাহাজে উঠে পড়েন তিনি। তবে তিনি প্রেসিডেন্টের এয়ার ফোর্স ওয়ান বা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বোয়িং ৭৪৭ উড়োজাহাজের দিকে যাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারা দক্ষিণ ওয়াশিংটনের এ সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করে থাকেন। কোথাও যেতে হলে এখান থেকে উড়াল দেন তাঁরা। অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো গুরুত্বপূর্ণ অতিথিরা এ ঘাঁটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নামেন। ফলে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেক কঠোর। ধরা পড়ার আগে খাবারের জায়গা, ভিআইপি টার্মিনাল ও আরও নানা জায়গায় পাঁচ ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করেন।
ইন্সপেক্টর জেনারেল জানান, এক নিরাপত্তাকর্মীর কারণে কোনো ধরনের বৈধ অনুমতি ছাড়া ওই ভবঘুরে ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েন। ওই নিরাপত্তাকর্মী ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্যে ছিলেন বলে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারেননি। তা ছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নানা ব্যবস্থাও এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করা। এ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় গেটেও ত্রুটি ছিল। সব মিলিয়ে ফলাফল, কোনো বৈধ্য প্রবেশপত্র ছাড়া ভবঘুরে লোকটি ঢুকে পড়েন গুরুত্বপূর্ণ ওই স্থাপনায়।
ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে একপর্যায়ে বোয়িং সি-৪০ পরিবহন উড়োজাহাজে ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। সেখানে প্রশিক্ষণার্থী দুই এয়ার ক্রু তাঁকে দেখলেও আমলে নেননি। পরে উড়োজাহাজটি থেকে নেমে টার্মিনালে এলে তাঁর অস্বাভাবিক আচরণ নিরাপত্তাকর্মীদের চোখে পড়ে, এরপর তিনি গ্রেফতার হন। নির্দিষ্ট দূরত্ব এবং কয়েক পর্যায়ের নিরাপত্তায় থাকা এয়ার ফোর্সের কাছে কোনোভাবেই ঘেঁষতে পারেননি ওই ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে ভবঘুরে লোকটি বলেন, মূলত উড়োজাহাজ দেখার জন্যই এয়ার ফোর্সের ঘাঁটিতে ঢুকেছিলেন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়েছে কিনা, জানা যায়নি।
সংবাদ সূত্রঃ বার্তা সংস্থা এএফপি