পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে অবস্থিত ভারতের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কার্যালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। আগুনে ঝলসে ও দম বন্ধ হয়ে এদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
সোমবার স্থানীয় সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট নাগাদ রেলের নিউ কয়লাঘাটার বহুতল ভবনের ১৩ তলায় এই আগুন লাগে। এরপরই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ৬টি গাড়ি। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় দফায় দফায় আরও ১৪টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। উদ্ধারকাজে নামানো হয় দুর্যোগ মোকাবেলা দলকেও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গের ফায়ার সার্ভিস মন্ত্রী সুজিত বসু, নগরোন্নায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নয়না ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র ও ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জাভেদ শামিমসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
পরে সুজিত বসু গণমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভেতরে উদ্ধার কাজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, ১ জন রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ), ১ জন হেয়ার স্ট্রিট থানার কর্মরত এএসআই। বাকী ১ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।’
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার প্রতি ১০ লাখ রুপি করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘যেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, সেটা রেলের সম্পত্তি। তবু তাদের পক্ষ থেকে কাউকে ঘটনাস্থলে একবারের জন্যও দেখা যায়নি। তাদের কারো আসা উচিত ছিল এমনকি আগুন নেভোনোর জন্য রেলের কাছে এই বিল্ডিং’এর ম্যাপ চেয়েও পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেটাও দেওয়া হয়নি। এটা দুভার্গজনক। কিন্তু দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।’