সৌদিতে ইরানপন্থি হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা বিমান হামলা সৌদির

মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে ইরানপন্থি হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। সৌদি আরবের দাবি, হুতি বিদ্রোহীরা একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। ড্রোন হামলাও চালিয়েছিল। তারপরই ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে আক্রমণ শানায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জোটের বিমান হামলার পরই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। বিপুল ধোঁয়া দেখা গেছে রাজধানীতে।

সৌদির সরকারি সংবাদসংস্থাকে জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল-মালিকি জানিয়েছেন, হুতি সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ শানাবার চেষ্টা করেছিল, যা মেনে নেওয়া যায় না।

আর হুতি নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলের দাবি, অন্তত সাতবার বিমান হানা হয়েছে সানাতে। কোথায় আক্রমণ শানানো হয়েছে, কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অবশ্য জানানো হয়নি। তবে দু’টি সেনা ঘাঁটি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।

হুতির দাবি

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দাবি, তারা সৌদির অয়েল পোর্ট ও সামরিক ঘাঁটির ওপর আক্রমণ শানিয়েছে। পরে সৌদি আরবের পক্ষ থেকেও এই আক্রমণের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। হুতির মুখপাত্রের দাবি, সৌদির নেতৃত্বাধীন জোট তুরস্কের তৈরি একটি ড্রোন ব্যবহার করে আক্রমণ শানাতে চেয়েছিল। তারা সেই ড্রোন ধ্বংস করেছে।

এরপর কী

গত ছয় বছর ধরে ইয়েমেনে লড়াই চলছে। সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন ইয়েমেনে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে। তারা জঙ্গি সংগঠনের তালিকা থেকে হুতির নাম বাদ দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন হুতিকে এই তালিকায় ঢুকিয়েছিল। বাইডেন সম্প্রতি অভিজ্ঞ কূটনীতিক টিন লেন্ডারকিংকে ইয়েমেনের বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন।

কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে বাইডেনের প্রয়াস কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ছয় বছর আগে হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী ও উত্তরের একটি বড় অংশ দখল করে নেয়। তারপরই লড়াই শুরু হয়। হুতিদের হঠাতে সৌদির নেতৃত্বাধীন জোট আক্রমণ চালিয়ে গেছে। তারাই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।

কিন্তু সংঘর্ষে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। তার মধ্যে ১২ হাজার সাধারণ মানুষ। লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন।

Scroll to Top