দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমারের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা পরিবারকে নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র ভারতে চলে গেছেন। দেশটির সামরিক শাসকের আদেশ মানতে অস্বীকার করেছেন তারা। ভারতে তারা আশ্রয়প্রার্থী হয়েছেন। বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক শাসক তাঁদের এমন সব নির্দেশ দিচ্ছেন, যা মানা সম্ভব নয়। সেই কারণে তারা ভারতে চলে এসেছেন।
কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছে নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেরত চেয়েছে মিয়ানমার। এক চিঠির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের’ দোহাই দিয়ে নিজেদের কর্মকর্তাদের ফেরত চেয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
এ ব্যাপারে ভারতের মিজোরামের এক ডেপুটি কমিশনার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তারা মিয়ানমারের ফালাম জেলা থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। সেখানে বলা হয়, আটজন পুলিশ কর্মকর্তার সীমান্ত অতিক্রমের খবর রয়েছে তাদের কাছে। প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে তাদের যেন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারসহ ৩০ জনের একটি দল আশ্রয়ের সন্ধানে মিয়ানমারের সীমান্ত অতিক্রম করে। ভারতীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার এএফপি জানায়, সীমান্ত অতিক্রমের আশায় আরও মিয়ানমারের নাগরিক অপেক্ষা করছে।
গত মাস থেকে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারজুড়ে গণবিক্ষোভ ও ধর্মঘট চলছে। ইতোমধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে ক্ষমতা দখল করে।