আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামী এক বীর যোদ্ধাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ইউরোপের রাষ্ট্র ফ্রান্স। দীর্ঘ ৬৩ বছর পর এ স্বীকারোক্তি দিল দেশটি। আলজেরীয় উকিল ও স্বাধীনতাকামী সেই যোদ্ধা আলী বুমনজিলকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন।
৬৩ বছর আগে ফরাসি বাহিনীর নিরাপত্তা হেফাজতে স্বাধীনতাকামী এই যোদ্ধার মৃত্যুর পর ‘আত্মহত্যা’ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার প্যারিসে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদে আলী বুমনজিলের চার নাতির সঙ্গে সাক্ষাতে ফ্রান্সের ঐতিহাসিক এই অপরাধের কথা স্বীকার করেন ম্যাকরন।
ম্যাকরন বলেন, আলী আত্মহত্যা করেননি। তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় করা কোনো অপরাধ, কোনো নির্মমতা ক্ষমা করা বা গোপন করা হবে না।
বুমনজিলের বিধবা স্ত্রী মালিকা দীর্ঘদিন তার স্বামীর মৃত্যুর পেছনের সত্যের অনুসন্ধানে কঠোর সংগ্রাম করেন। আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৫৭ সালে তার বাবা বেলকাসিম আমরানি, ভাই আন্দ্রে আমরানি ও বন্ধু সালহ মোহান্দও নিখোঁজ হয়েছেন।
এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আলজিয়ার্সের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফরাসি সেনাবাহিনী আলীকে নির্জন কারাবাসে রেখে নির্যাতনের পর ১৯৫৭ সালের ২৩ মার্চ হত্যা করে। পরে তা আত্মহত্যার ঘটনা সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৩২ বছরের উপনিবেশিক শাসনের পর নির্মম এক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৬২ সালে আলজেরিয়া স্বাধীন হয়। আট বছরের স্বাধীনতার লড়াইয়ে আলজেরিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষ নিহত হয় বলে ধারণা করেন ঐতিহাসিকরা।