আলোচনার মাধ্যমেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের কথায় অন্তত তেমন ইঙ্গিতই মিললো। রোববার টিলারসন সিএনএনের \’স্টেট অব দি ইউনিয়ন\’ অনুষ্ঠানে টিলারসন বলেন, \’প্রথম বোমাটি পড়ার আগ পর্যন্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলবে।\’
কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর একদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন বক্তব্য এলো। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ এই সামরিক মহড়াকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া দখলের মহড়া হিসেবে অভিহিত করেছে পিয়ংইয়ং।
টিলারসন বলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে কূটনীতিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম পছন্দ। যদিও কয়েকদিন আগে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছিলেন, \’কূটনীতিতে কাজ হবে না।\’
ট্রাম্পের এই টুইট সম্পর্কে জানতে চাইলে টিলারসন বলেন, টুইটারে যদিও তিনি বলেছেন যে কূটনীতিতে কাজ হবে না, তারপরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সহিংসতা এড়াতে চান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে, কূটনৈতিকভাবে তিনি বিষয়টির সমাধান করতে চান। তিনি (ট্রাম্প) যুদ্ধে আগ্রহী নন।\’
গত কয়েক সপ্তাহ আগে বেইজিং সফরকালে টিলারসন বলেছিলেন, উত্তেজনা প্রশমনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন তিনি। তবে সে সময় এক টুইটে ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে টিলারসন তার \’সময় নষ্ট করছে\’।
এদিকে টিলারসনের মন্তব্যে উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসন কিছুটা যেন পিছু হটলো বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি— ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে উত্তর কোরিয়ার হুঁশিয়ারিতে যুদ্ধবিমানের মহড়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌপথে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিলেন, সেখানে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রকে যেন খানিকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিলো।
বাংলাদেশ সময়:১৪২০ ঘণ্টা, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি