দুবছর আগে যেখানে ১৭ কোটি ভারতীয় শিশুকে পোলিও ড্রপ খাওয়ানো সম্ভব হয়েছিল। হাম কিংবা মাম্পস-এর ভ্যাকসিন একদিনে বিপুল পরিমাণ দেওয়ায় সাফল্য পেয়েছিল ভারত সেখানে ৩৯ দিনে কোভিড ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ ফ্রন্টলাইন কোভিড যোদ্ধাকে। এই বিলম্বের কারণ কি?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডিজিটাল হতে গিয়েই এই বিপত্তি। তাঁদের মতে, ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রহীতার যাবতীয় তথ্য কোউইন আপ এ তুলে রাখার জন্যেই এই বিলম্ব হচ্ছে। পোলিও, হাম বা মাম্পসের ক্ষেত্রে পুরো ব্যাপারটাই হতো অফআইনে। অর্থাৎ ম্যানুয়ালি। ফলে, দ্রুততা সম্ভব ছিল।
কিন্তু কোউইন আপ পুরো প্রক্রিয়াটিকেই বিলম্বিত করে দিচ্ছে। ফলে, ৩৯ দিনে মাত্র এক কোটি ২০ লক্ষ কোভিড যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। অথচ, পোলিও ড্রপ এক একটি রাজ্য একদিনে এক থেকে দেড়কোটি শিশুকে খাইয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা অধিকাংশ মনে করছেন, পুরোনো পদ্ধতি অর্থাৎ অফলাইনে এই ভ্যাকসিন দেয়া হলে দ্রুততা বাড়বে। অনেকে আবার অনলাইন ও অফলাইনের পাশাপাশি অবস্থান চান। তবে, প্রায় সকলেই নিশ্চিত যে কোউইন আপ এর কারণেই এই বিলম্ব। এর ফলে পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা বিলম্বিত হচ্ছে। সংক্রমণ ফের ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার ম্যানুয়াল প্রথাকে বেছে নেবে- আশা সকলের।