যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে করোনার নতুন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার শংকার মধ্যেও সীমিত আকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে জার্মানি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বিরতির পর আবারও স্কুল খুলে দেয়ায় খুশি স্কুলগামী শিশু ও অভিভাবকেরা।
এখনো কমেনি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ, তারপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসা ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের নতুন ধরনের করোনার সংক্রমণের শংকার মধ্যেই দীর্ঘ দু\’মাস পর খুলে দেয়া হয়েছে জার্মানির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ১৬টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে প্রায় ১২টি অঙ্গরাজ্যেই সীমিত আকারে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হয়েছে। মার্কেল সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয়সহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাঙালি এক পরিবার জানান, বাচ্চারা বাসায় থাকতে থাকতে তাদের মধ্যে একগুয়েমি ভাব চলে এসেছে। স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত ভালো। তারা স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা করলে মানসিক প্রশান্তি লাভ করবে।
তবে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিশুদের দেখা শোনায় নিয়োজিতদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার আগেই স্কুল খুলে দেয়াটা হতে পারে হিতে বিপরীত বলছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকরা জানান, সবাইকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় এনে স্কুল খুললে ভালো হতো। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কম হতো। স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তটা ভালো তবে ভুলে গেলে চলবে না বার্লিনসহ অনেক অঞ্চলে করোনার নতুন ধরনে সংক্রমিতের সংখ্যাও কিন্তু বাড়ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টিকা দেয়ার পর আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে যদি স্কুলে খুলে দেয়া হতো তাহলে বোধহয় ভালই হতো। শঙ্কটাও কমতো।
এদিকে, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয় ধীরে ধীরে লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিলতার অংশ হিসেবে সেলুন, রেস্তোরাঁ ও খেলাধুলার স্থানও খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেল।