জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা নিশ্চিত করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি এ তথ্য জানায়।
নির্বাচনের বিপরীত ঘটনা ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে যে, এটি দেশ শাসনে কোনো উপায় না।
মিয়ানমারে সাংবিধানিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য একমত হবে বলে আশাবাদী আমি। ’
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসলেও চীনের সমর্থন না থাকায় অভ্যুত্থানের নিন্দা করে কোনো বিবৃতি দিতে পারেনি।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং অং সান সু চি-সহ অন্য রাজনীতিক নেতা ও কয়েকশ’ আইনপ্রণেতাকে আটক করে। এরপর অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা এরপর একটি সুপ্রিম কাউন্সিলও গঠন করে।
তারপর গত বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যোগাযোগের সরঞ্জাম অবৈধভাবে আমদানির অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে মামলা করে দেশটির পুলিশ। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৭৫ বছর বয়সী এ নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি আমদানি-রপ্তানির আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত সু চির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওয়াকি-টকি রেডিও-সহ অবৈধ যোগাযোগের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। মিয়ানমার পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক থাকবেন সু চি।
প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— কোভিড মহামারিতে সমাবেশ নিষিদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তিনি। তাকেও দু’ সপ্তাহের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।