অবৈধভাবে যোগাযোগের সরঞ্জাম আমদানির অভিযোগে মিয়ানমারের আলোচিত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির পুলিশ। মিয়ানমার পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক থাকবেন সু চি।
আজ বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৭৫ বছর বয়সী এ নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি আমদানি-রপ্তানির আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত সু চির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওয়াকি-টকি রেডিও-সহ অবৈধ যোগাযোগের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি-সহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা এবং কয়েকশ’ আইনপ্রণেতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— কোভিড মহামারিতে সমাবেশ নিষিদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তিনি। তাকেও দু’ সপ্তাহের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি।