অন্য দেশের সঙ্গে এশিয়ার ৫টি দেশের কোনো স্থল সীমান্ত নেই। এ দেশগুলো হলো জাপান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও তাইওয়ান। তবে বাকি দেশগুলো এক বা একাধিক দেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগাভাগি করে আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাগাভাগি করা সীমান্ত রয়েছে শান্তিপূর্ণ। তবে কিছু সীমান্তে রয়েছে চরম উত্তেজনা। নয়া দিল্লি থেকে ডাটা লিডস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ হলো চীন। এর রয়েছে ১৬টি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত। এর দৈর্ঘ্য ২২ হাজার ১৪৭ কিলোমিটার। তবে কয়েকটি প্রতিবেশীর সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে তাদের বিরোধ আছে। সবচেয়ে বড় বিরোধ হলো ভারতের সঙ্গে। এ দুটি দেশের মধ্যে রয়েছে অভিন্ন ৩৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত। তাতে দু’পক্ষই মুখোমুকি অবস্থানে। সীমান্ত বিরোধে ১৯৬২ সালে তাদের মধ্যে একটি যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু অনেক বিবদমান এলাকায় সমস্যা রয়েছে অমীমাংসিত। এ বছর জুন থেকে দোকলাম নিয়ে তাদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। সেখানে চীনের একটি সড়ক নির্মাণ কাজে বাধা দেয় ভারত। সেই থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুটান দাবি করে দোকলাম হলো তাদের ভূখণ্ড।
বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ সীমান্ত রয়েছে ভারতের। এর মোট দৈর্ঘ্য ১৩ হাজার ৮৮৯ কিলোমিটার। এ সীমান্ত ৭টি দেশের সঙ্গে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থল সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে রয়েছে উত্তেজনা। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত, বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণ রেখা হলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সামরিক উপস্থিতির রণক্ষেত্র। এই নিয়ন্ত্রণ রেখা দু’দেশকে কাশ্মিরে বিভক্ত করেছে। মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে ৮ হাজার ৮২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে অপেক্ষাকৃত উন্মুক্ত ও শান্ত। বিশ্বে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত সমাজ ব্যবস্থায় সীমান্ত চিহ্নিতকরণ একটি অতীব প্রয়োজনীয় বিষয়। যখন দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন সীমান্ত থাকে তখন স্থল ভূমি ও জলভাগ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওইসব ভূমি বা জলভাগ বিভিন্ন স্বাধীন দেশ নিজেদের দাবি করে বসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ২৪ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস