রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেশ যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন একটি রূপ ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমেই বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড কঠোর লকডাউন আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবিসি জানায়, জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে। এছাড়া, ওষুধ কেনা, বাজার করা এবং যাদের পক্ষে ঘরে বসে কাজ করা সম্ভব না, তারা বাসা থেকে বের হতে পারবে। ডাউনিং স্ট্রিটে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেন জনসন।
এসময় সব স্কুল-কলেজও বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) থেকে শিক্ষার্থীরা ভার্চ্যুয়ালি শিক্ষা নেবে। যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় আগামী সপ্তাহগুলো কঠিনতম হতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে চারটি গ্রুপকে আগামী মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। বৃদ্ধনিবাসের বাসিন্দা এবং সেখানকার কর্মী, ৭০ বছর ও এর ঊর্ধ্ব বয়স্ক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সমাজসেবা কর্মী এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি— এ চার গ্রুপকে মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।
এদিকে, এর আগেই স্কটল্যান্ড সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা জারি করেছে এবং ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েলস। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ভার্চ্যুয়াল শিক্ষা কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হাসপাতালের রোগীদের ভিড় ও চাপ বাড়তে থাকায় এবং যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানান বরিস জনসন।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২৭ লাখ ২১ হাজার ৬২২ এবং তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ হাজার ৫৪৭ জনের।