ঘটনাটি ভারতের বিহারের। বিহার রাজ্যের কৈমুর জেলার ভাবুয়া শহরে সোনুর মামার বাড়িতে ভাড়া থাকত অভিযুক্তের পরিবার। মামার বাড়িতে থাকত সোনুও। একই বাসায় থাকায় সোনুর সাথে অভিযুক্ত কিশোরের বোনের প্রনয় হয়। প্রায় তারা লুকিয়ে দেখা করতো। কিন্তু হঠাত একদিন প্রেমিকের সঙ্গে বোনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে অভিযুক্ত কিশোর। বাবা-মাকে জানালে, এই নিয়ে তুমুল অশান্তি হয়।
ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে ,পরিবারটিকে ভাড়া বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হয়।
আর তাতেই ক্ষোভে আরো ফেটে পরেন প্রেমিকার ভাই। সেই রাগেই বোনের প্রেমিককে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে । অভিযুক্ত এই কিশোর দশম শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু খুন করার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে ১৫ বছরের ওই কিশোর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ভাবুয়া শহরের উপকণ্ঠে এক পাম্প হাউসে সামনে বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলছিলেন সোনু। তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তাঁকে খুন করে অভিযুক্ত কিশোর। অস্ত্রটি ধান ক্ষেতে ফেলে দিয়ে, সোজা থানায় চলে যায় সে। পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
এ ব্যাপারে কৈমুর জেলার পুলিশ সুপার হারপ্রীত কউর জানিয়েছেন, \”অভিযুক্ত কিশোর, তার বাবা-মা ও সোনুর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের দাদু। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। \”
গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত কিশোর পুলিশকে জানিয়েছে, \”সোনুর সঙ্গে তার বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই নিয়ে কিছু বলতে গেলেই, তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন সোনু। বুধবার নিজের বোনকে সোনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে ওই কিশোর। বিষয়টি বাবা-মাকে জানায় সে। এরপরই বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে কিশোরের পরিবারের বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। তাদের ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই কিশোরের বোনের সঙ্গে সোনুর সম্পর্কের কথাও জানাজানি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে ভাবুয়া শহরের উপকণ্ঠে এক পাম্প হাউসে সামনে বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলছিলেন সোনু। তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তাঁকে খুন করে অভিযুক্ত কিশোর। অস্ত্রটি ধান ক্ষেতে ফেলে দিয়ে, সোজা থানায় চলে যায় সে। পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করে। \”
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল