বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকায় আজ মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হবে দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হতে যাচ্ছে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ গোটা দুনিয়া তাকিয়ে আছে আমেরিকার দিকে।
এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের। বিভিন্ন সমীক্ষায় এবার ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। তবে এই দুই প্রার্থী ছাড়াও প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করছেন আরও অনেকে। তবে প্রেসিডেন্ট পদে অন্য সেযব সদস্য আছেন তাদের নিয়ে আলোচনা নেই বললেই চলে। হার নিশ্চিত জেনেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন তারা।
৯ অক্টোবর পর্যন্ত হিসেবে দেখা যায়, প্রায় ১ হাজার ২১৬ জন প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হতে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। এবারের নির্বাচনে আরও অনেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আছেন। তার মধ্যে প্রথম সারির দল লিবার্টিয়ান থেকে জো জোগারসন ও গ্রিন পার্টি থেকে হোয়ি হকিন্স প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করছেন।
যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের বিভিন্ন রাজ্যের শর্ত পূরণ করতে হবে। ব্যালটে নাম থাকবে না তবে যদি কোনও ভোটার নিজে ব্যালটে তার নাম লেখেন তাহলে তিনি পেলেন বলে ধরা হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আছেন জেড সিমন্স, ব্রক পিয়ার্স, মার্ক চার্লসসহ অনেকে। জেড সিমন্স পেশাদার পিয়ানোবাদক, খ্রিষ্টান যাজক, মানুষকে উদ্দীপ্ত করার মতো বক্তা। ক্রিপটোকারেন্সি কোটিপতি ব্রক পিয়ার্স ও মার্ক চার্লস আমেরিকান আদিবাসী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। সোশ্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশন দল থেকে গ্লোরিয়া লা রিভা, অ্যালায়েন্স পার্টি থেকে রকি ডি লা ফুয়েন্তি, কনস্টিটিউশন পার্টি থেকে ডন ব্লানকেনশিপ প্রেসিডেন্ট পদে মাঠে আছেন।
ইনডিপেনডেন্ট পার্টির বিটকয়েন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্লোক পিয়ার্চি, বার্থডে পার্টির র্যাপার কেইনি ওয়েস্ট, আমেরিকান সলিডারিটি পার্টি থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার শিক্ষক ব্রিয়ান ক্যারোল, সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কাস পার্টি থেকে অ্যালিসন কেনেডি, ইউনিটির বিল হ্যামনস, প্রোহিবিশন পার্টির ফিল কলিন্স ও প্রগ্রেসিভ পার্টি থেকে ডারিও হান্টার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এরা পাঁচটি বা অধিক রাজ্যের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।