গ্রীস এবং তুরস্কের মাঝে অবস্থিত এজিয়ান সাগরে শক্তিশালী ভূকিকম্পে তুরস্কে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে বহু ভবন ভেঙে পড়েছে। আর উপকূলীয় এলাকা ও গ্রিস উপদ্বীপে জলোচ্ছ্বাস আঘাত হেনেছে। ৭ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। খবর সিএনএন এর।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুরস্কের ইজমির প্রদেশে। পার্শ্ববর্তী অ্যাথেন্স এবং ইস্তাম্বুলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এতে ইজমির শহরের অন্তত ২০টি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে।
এদিকে, সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সরকারি সব প্রতিষ্ঠান কাজ করেছ বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের নাগরিকদের সঙ্গে আমরা আছি। সম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য সমবেতভাবে সবাই অংশ নিয়েছে।
ভূমকম্পের কারণে সামোস বন্দরে মিনি সুনামি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তুরস্ক এবং গ্রিস উভয়ই ফল্টলাইনে অবস্থিত। ভূমিকম্প এ অঞ্চলে স্বাভাবিক ঘটনার মতো। এদিকে শুক্রবারের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গ্রিসের উত্তরাঞ্চল। সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আটকা পড়াদের উদ্ধার করছেন সাধারণ মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভূকম্পন শুরু হওয়ার পর পরই সাধারণ মানুষ রাস্তায় এসে আশ্রয় নিতে থাকেন। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, মিশর, লিবিয়া, যুক্তরাজ্য এবং উত্তর মেসিডোনিয়াতেও।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাজিগ প্রদেশে ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়। আহত হয় ১৬০ জন।