বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত চুক্তি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে সুদান। এরই মধ্যে সুদান সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক দেশের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ইসরায়েলে সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় আরও পাঁচটি আরব দেশ। এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে’র।
ইসরায়েল ও সুদানের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে ত্রি-পাক্ষিক ফোনালাপের পর শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত দুই মাসের মধ্যে আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
ইহুদি ভোটার টেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করতেই ট্রাম্প এসব প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
ট্রাম্প বলেন, ‘আরব বিশ্বের কমপক্ষে পাঁচটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়তে চায় আমাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে।’
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সুদানের সম্পর্ক স্থাপনের কড়া সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিন। দেশটির নেতারা বলেন, ‘এটা তাদের পিটে নতুন করে ছুরিমারার শামিল।’
সুদানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওমর গামারেলদিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি করলেও আইনসভা গঠিত হলে সেখানে এটা পাস হতে হবে।
ইসরায়েল-সুদানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে আরব আমিরাত। তারা বলছে, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও উন্নতি আরও শক্তিশালীকরণে এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।