আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার যুদ্ধবিরতির কোন লক্ষনই দেখা যাচ্ছে না। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ হলেও সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে সংঘাত বন্ধে আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক এ তিন দেশ সংঘাত নিরসনে সহযোগিতা করবে বলে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
এদিকে, ইরানের প্রস্তাবটির প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত আর্মেনিয়ান রাষ্ট্রদূত ভারুজহান নেরসায়ান জানিয়েছেন, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইরান। চলমান নাগোরনো-কারাবাখ বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ইরানের ভারসাম্য পদ্ধতি এবং প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দেই আমরা। আলোচনার মাধ্যমেই এই অঞ্চলের আগ্রাসন সমাধান হতে পারে, আমি মনে করি সেই সক্ষমতা রয়েছে ইরানের। আজারবাইজানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তুরস্ককে নাগোরনো-কারাবাখে আগুন না জ্বালানোর জন্য আহ্বান জানাতে পারে ইরান বলে জানান আর্মেনিয়ান রাষ্ট্রদূত ভারুজহান নেরসায়ান।
এদিকে, সংঘাত বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মস্কো সফরে গেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেইহুন বাইরামভ বুধবার মস্কোয় পৌঁছেছেন। আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।
এদিকে, আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহরাব নাতসাকানিয়ান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে কারাবাখ পরিস্থিতি ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য মস্কো যাচ্ছেন। আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র আনা নাগদালিয়ান এ সফরের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
তবে দুই মন্ত্রী একসাথে ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন নাকি আলাদাভাবে কথা বলবেন তা পরিষ্কার নয়। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের এই দুই মন্ত্রী এরপর ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও কথা রয়েছে।