ভারতের নয়াদিল্লি শহরতলির নয়ডা এলাকার ১৪ বছরের কিশোরী আরুশি তালওয়ারকে হত্যা করেছিল কে? তার মা-বাবা? আজ বৃহস্পতিবার এলাহাবাদের হাইকোর্টে এর চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে।
নয়ডা এলাকার বাড়িতে ২০০৮ সালে আরুশিকে (১৪) গলা কেটে হত্যা করা হয়। সন্দেহের তির যায় ওই বাড়ির নেপালি গৃহপরিচারক হেমরাজ বানজাদের দিকে। কারণ, তখন হেমরাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিনই হেমরাজের মরদেহ পাওয়া যায় ওই অ্যাপার্টমেন্টের ছাদের ওপর।
পরে গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) তদন্তে জানা যায়, আরুশি ও হেমরাজ দুজনকেই হত্যা করেছেন আরুশিরই মা-বাবা। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গৃহপরিচারকের সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় আরুশিকে দেখে ক্ষুব্ধ দন্তচিকিৎসক দম্পতি রাজেশ তালওয়ার ও নূপুর তালওয়ার নিজেদের সম্মান বাঁচাতে তাঁকে হত্যা করেন। তবে তালওয়ার দম্পতি পুলিশের অযোগ্যতা ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকে দায়ী করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আদালতে গলা কেটে হত্যা ও আলামত ধ্বংস করার দায়ে বাবা রাজেশ এবং মা নূপুরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে আদালত তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আরুশির মা-বাবা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এই মামলাটি এমনই আলোড়ন তুলেছিল যে এই ঘটনাকে নিয়ে বই প্রকাশ ও সিনেমা তৈরি হয়।
২০১৩ সালে রাজধানী নয়াদিল্লির অদূরে গাজিয়াবাদ কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আরুশির মা-বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল সিবিআই। তবে আইনজীবীরা তালওয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে কোনো ফরেনসিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই ‘নিহত ব্যক্তিদের সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ওই দম্পতির সঙ্গে’-এমন তত্ত্বের ভিত্তিতেই মামলাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তার ভিত্তিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। তবে তালওয়ার দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে অনুমাননির্ভর ও সাজানো সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে আবার আপিল করেন তাঁরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল