গত ২০১৯ সালে গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রোলের হয়েছেন মেগান মার্কেল। ব্রিটেনের যুবরাজ হ্যারির স্ত্রী তথা অভিনেত্রী মেগান নিজেই একথা স্বীকার করেছেন।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে রেকর্ড করা এক বক্তব্যে তিনি বলেন, লাগাতার ট্রোল হওয়ার ঘটনায় তার আবেগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতামূলক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মেগান। ছিলেন তার স্বামী হ্যারিও। অনুষ্ঠানে তিনজন কিশোর উপস্থাপকের সঙ্গে কথপোকথনের সময় ৩৯ বছর বয়সী মেগান জানান, একের পর এক ভুয়া খবর ও ট্রোলিং চলতে থাকায় বিষয়টি একসময় তার কাছে রীতিমতো অসহনীয় হয়ে ওঠে।
এরপরই তার সংযোজন, গত বছর গোটা বিশ্বে পুরুষ ও নারী মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রোলড হয়েছেন তিনি। যা সত্য নয়, তা নিয়ে চর্চা চলতে থাকায় শেষমেশ মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। যদিও আপাতত গত আট মাস ধরে তিনি সেই চর্চার বাইরে রয়েছেন।
সন্তান প্রতিপালনের ধরনসহ নানা বিষয়ে তার ছবি প্রকাশ হতেই নেট দুনিয়ায় হইচই পড়ে যায়। ধেয়ে আসতে থাকে নেটিজেনদের তির্যক মন্তব্য। যদিও মেগানের কথায়, আমি তখন সন্তানকে নিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটাচ্ছিলাম। জনসমক্ষে আসিনি। ফলে কী করে এসব রটানো হল! এমনটা ভাবা নেহাতই অসম্ভব। তবে আমি এসবের পরোয়া করি না। কে, কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু এরকম ঘটনা চলতে থাকলে যেকোনও মানুষের মনের ওপরই তার প্রভাব পড়ে।
: সিএনএন