মহামারী করোনার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে গোটা ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ১৭৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত এ রোগে মারা গেছেন ৯৭ হাজার ৪৯৭ জন।
বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়াও একই সময়ে দেশটিতে ৮০ হাজার ৪৭২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬৩ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৬ হাজার ৪২৮ জন।
করোনা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা, কেরালা, বিহার, আসাম ও গুজরাট।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন মোট ৩৬ হাজার ১৮১ জন। এরপর সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ুতে ৯ হাজার ৪৫৩ জন।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে।
২০২০ সালের ১৪ই মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ২১৩টিরও বেশি দেশ ও অধীনস্থ অঞ্চলে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার-এরও বেশি ব্যক্তি করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। বর্তমানে ৩ লাখের বেশী ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে এবং ১৬ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে।
উহানে দেখা দেওয়া ভাইরাস প্রজাতিটি ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়। অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এ প্রজাতিটি সাপ অথবা বাদুড় থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন।