উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কোন গোপন অস্ত্র সামনে আনতে চলেছেন। সাবমেরিন থেকে মিসাইলের পরীক্ষাও করতে পারেন তিনি। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মিলছে সেই ইঙ্গিত।
১০ অক্টোবর উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস। আর সেদিন এক বড়সড় মিলিটারি প্যারেড অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওইদিন কোনও এক বড়সড় মিসাইল প্রদর্শন করবে উত্তর কোরিয়া। আর তার আগে কোনও এক গোপন কর্মকাণ্ড চলছে উত্তর কোরিয়ার সিনপো সাউথ শিপইয়ার্ডে। স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি।
কিছুদিন আগেই ইউএস মিলিটারির একটি রিপোর্টে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার কাছে রয়েছে অন্তত ৬০টি নিউক্লিয়ার বোমা ও ৫০০০ টন রাসায়নিক অস্ত্র।
গত মাসে ‘নর্থ কোরিয়ান ট্যাক্টিকস’ শিরোনামে ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মার্কিন সেনার দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে অনেক। ২০-৬০ টি পরমাণু বোমা তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি আমেরিকার। প্রত্যেক বছর অন্তত ছ’টি করে নতুন বোমা তৈরি করা হয় বলেও জানিয়েছে ওই রিপোর্ট।
রিপোর্ট এমনটাও বলা হয়েছে যে ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই উত্তর কোরিয়ার হাতে থাকবে ১০০টি পরমাণু বোমা। মার্কিন সেনার ধারণা উত্তর কোরিয়ার কাছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে, যার পরিমাণ ২৫০০ থেকে ৫০০০ হাজার টন পর্যন্ত হতে পারে। আশঙ্কা করা হয়, যদি সত্যি কখনও সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন উত্তর কোরিয়া কেমিক্যাল আর্টিলারি সেল ব্যবহার করবে।
ওই রিপোর্টে এমনটাও বলা হয়েছে যে উত্তর কোরিয়ার কাছে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে রয়েছে একাধিক জীবাণু। স্মলপক্স কিংবা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু তারা মিসাইল এর মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে উত্তর কোরিয়া যদি সিউলের দিকে তাক করে একটি মিসাইল ছুঁড়ে এবং তাতে এক কিলোগ্রাম অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু থাকে তাহলে সেই জীবাণুতে 50 হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
একইসঙ্গে সাইবার যুদ্ধের সবরকম বন্দোবস্ত রয়েছে উত্তর কোরিয়ার কাছে। তাদের হাতে অন্তত ৬০০০ হ্যাকার রয়েছে বলে ধারণা মার্কিন সেনার, যাদের মধ্যে অনেকেই উত্তর কোরিয়ার বাইরে বসবাস করে। এইসব হ্যাকাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে এমন বিশ্বের যেকোনো কম্পিউটারে পৌঁছে যেতে পারে।