জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এডগার লুঙ্গু ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, একটি জাতি কীভাবে প্রাণীদের সঙ্গে আচরণ করে তার মধ্যে দিয়ে তাদের মানসিকতা ও নৈতিক মূল্যবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। আমি আনন্দিত এটা ভেবে যে তুমি বিদায় জানানোর পর উপযুক্ত সমাদর পেয়েছ। আমরা সবাই তোমাকে খুব মিস করব।
কোনও মানুষের জন্য প্রেসিডেন্ট এমন পোস্ট করেননি। করেছেন একটি মাছের জন্য। তবে সেই মাছকে সাধারণ ভাবলে ভুল করবেন। জাম্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে বাস করা মাফিশি নামের সেই মাছটিকে সেই দেশের মানুষ সৌভগ্যের প্রতীক বলে মনে করতেন।
মাছটি সস্প্রতি মারা গেছে। মাছটির বয়স প্রায় ২২ বছর। প্রায় ২০ বছর ধরে মাছটি কপারবেল্ট ইউনিভার্সিটির (সিবিইউ) ক্যাম্পাসে একটি পুকরে ছিল বলে জানা যায়।
গত দুই দশক ধরে সিবিউ এর শিক্ষার্থীরা মনে করেন, পরীক্ষায় তাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে মাফিশি নামের এই মাছটি। স্থানীয় বাম্বা ভাষায় মাফিশি শব্দের অর্থ বিগ ফিশ বা বড় মাছ। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের দেশ জাম্বিয়ার মানুষ সৌভাগ্যের প্রতীক মাফিশি নামের এই মাছটির মৃত্যুতে গভীর শোকাহত। এমনকি, অনেকেই মাছটির ছবি শেয়ার করে শোকবার্তা লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মাছটির মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তা নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই মাছটিকে এখনও সমাহিত করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র লিখেছেন, মাফিশিকে সাঁতার কাটতে দেখলেই মনে অদ্ভুত শান্তি পেতাম আমরা। পরীক্ষার আগে ওকে দেখতে পেলে আমাদের সৌভাগ্য সঙ্গে থাকত। তা ছাড়া ওকে দেখলে যেন মনের সব চাপ কেটে যেত। গত দুই দশক ধরে মাফিশির সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। আর সেই বন্ধু হঠাৎ সবাইকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় সবার মন খারাপ।