জাপানের পর দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে টাইফুন ‘হাইশেন’। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বুসানের দিকে ধেয়ে চোখ এই ঝড়ের। খবর বিবিসির।
ইতোমধ্যে টাইফুনের কারণে ১০টি বিমানবন্দরের তিন শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এদিকে ‘হাইশেনের’ আঘাতে জাপানে ৪ লাখ ৩০ হাজারের বেশি ঘরবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অবশ্য আশঙ্কার চেয়ে কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। জাপানিজ ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানায়, ৩০ জনের মতো মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একটি আশ্রয়কেন্দ্রের জানালার কাঁচের আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন।
টাইফুনের সম্ভাব্য গতিপথের এলাকা থেকে ৮০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে জাপান সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় কলকারখানা।
কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘মাইসাক’ গত সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপ ও জাপানে আঘাত হানার পর টাইফুন ‘হাইশেন’ আঘাত হানল।
এদিকে টাইফুন ‘হাইশেনের’ কারণে টাইফুন ‘মাইসাকের’ সময় ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ উদ্ধার অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে জাপানের কোস্টগার্ড।
গত বুধবার ৪৩ জন নাবিক ও ৬০০০ গরু নিয়ে ‘গালফ লাইভস্টোক-১’ নামের ওই কার্গো জাহাজটি নিখোঁজ হয়। এখন পর্যন্ত তিন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।