অবশেষে প্রেমিকা সিনিনাতের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া রাজকীয় সম্মাননা ও পদ ফিরিয়ে দিলেন থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালংকর্ন। রাজকীয় সম্মানের অপব্যবহারের অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরে এগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার রাজদরবারের এক ফরমানে সিনিনাত ওয়ংভাজিরাপাকদিকে তার ‘রয়াল কনসোর্ট’ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানায়, থাইল্যান্ডে রাজার সঙ্গী বা সহযোগীকে ‘রয়াল কনসোর্ট’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে এই মর্যাদা পেলেও তিনি রাজার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পান না। দেশটির গত প্রায় এক শতাব্দীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এই মর্যাদা পেয়েছিলেন সিনিনাত ওয়ংভাজিরাপাকদি। তবে এর কয়েক মাসের মাথায় তা কেড়ে নেওয়া হয়। ওই সময়ে রাজপ্রাসাদের তরফে জানানো হয়, রানি হওয়ার অন্যায় প্রচেষ্টা আর প্রদত্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সিনিনাত।
১৯৮৫ সালে জন্ম নেওয়া সিনিনাত ওয়ংভাজিরাপাকদি থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার বাসিন্দা। তৎকালীন যুবরাজ ভাজিরালংকর্ন -এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে নার্স হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পরে রাজার দেহরক্ষী হিসেবেও কাজ করেন। পাইলট ও প্যারাসুট ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের পর যোগ দেন রাজকীয় রক্ষী বাহিনীতে।
২০১৯ সালের শুরুতে তাকে মেজর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কয়েক মাস পর রাজা ভাজিরালংকর্ন নিজের চতুর্থ স্ত্রী রানি সুথিধাকে বিয়ে করার কিছু দিনের মধ্যে ‘রয়াল কনসোর্ট’ হিসেবে নিয়োগ পান সিনিনাত।