শক্তিশালী হ্যারিকেন লরার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আমেরিকার লুইজিয়ানা ও টেক্সাস উপকূল। উপকূলজুড়ে লরার ছোবলের ক্ষতচিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেখানে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কয়েক লাখ বাসিন্দা। উপড়ে গেছে অনেক গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। লরার আঘাতে লুইজিয়ানা ও টেক্সাসে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে লুইজিয়ানায় প্রাণ গেছে ১০ জনের। আর টেক্সাসে ৪জনের।
২৪০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ঝড় রাত ২টার পর লুইজিয়ানা এলাকায় আঘাত হানলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় অঙ্গরাজ্যটি। এর আগে ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছিলো এই হারিকেন। সেখানে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাণহানি কম হলেও আহতের সংখ্যাও অনেক। ২৪০ কিলোমিটার বেগের এই হ্যারিকেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। অকিস্মিক বন্যায় পানিবন্দিও হয়েছেন লাখো মানুষ। এছাড়া একটি শিল্পাঞ্চল এলাকায় কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন লুইজিয়ানোর গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস।
দুই অঙ্গরাজ্যে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রেডক্রস। ধ্বংস্তূপ অপসারণে ন্যাশনাল গার্ডের দেড় হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
হ্যারিকেন লরাকে ভয়াবহ দুর্যোগ আখ্যা দিয়েছেন লুইজিয়ানা ও টেক্সাসের গভর্নররা। ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার ২৯ আগস্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।