মহামারী করোনার তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বের মানুষ। গত এক মাস ধরে তাদের জনসাধারণকে করোনা ভ্যাকসিন দিচ্ছে বলে দাবি করেছে চীন। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, ২২ জুলাই থেকে চীন তাদের জনগণকে ভ্যাকসিনের ডোজ দিচ্ছে। তবে কমিশন চীনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া চারটি ভ্যাকসিনের মধ্যে কোনটি দেওয়া হয়েছে তা বলেনি।
চীন দাবি করেছে, মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিনের কোনো ধরনের খারাপ প্রভাব নেই। তবে অভিযোগ উঠেছে চীন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের তৃতীয় পর্যায় তথা হিউম্যান ট্রায়াল না করেই জনগণকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে।
চীনের এনএইচসির পরিচালক ঝেং ঝংওয়ে জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনটি প্রাথমিক পর্যায়ে কেবল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এবং মেডিক্যাল কর্মীদের দেওয়া হয়।
তিনি চীনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন বলেন, বিদেশ থেকে করোনারভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। তাই আগে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ভ্যাকসিন দেয়া দরকার ছিলো। আর স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করছেন। ফলে প্রথমে তাদেরকেও ভ্যাকসিন দিতে হয়েছে।
চীনের দাবি অনুসারে রাশিয়ান ভ্যাকসিনের চেয়ে তিন সপ্তাহ আগে তার লোকদের ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া শুরু করে।
এনডিটিভি বলছে, দু দেশের ভ্যাকসিনের মধ্যে সাদৃশ্য এই যে, উভয়ই তাড়াহুড়া করেই ছাড়া হয়েছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছে, গোটা বিশ্ব যখন করোনারভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি ও মানবজীবন সুরক্ষার জন্য লড়াই করছে, তখন চীনের এই কৌশলটি সমালোচনার মধ্যে পড়েছে।