হিজবুল্লাহর সীমান্ত চৌকিতে ইসরায়েলি বিমান হামলা

মধ্য প্রাচ্যের দেশ লেবাননের শিয়াগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কয়েকটি সীমান্ত চৌকিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে এই হামলা চালানো হয়। এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে গুলি করার অভিযোগ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর দিয়েছে।

লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ওই গুলিবর্ষণের ঘটনায় কোনো ইসরায়েলি সেনা আঘাত পায়নি। এই গুলিবর্ষণের জবাবে ইসরায়েলি সেনারা ইলুমিনেশন ফ্লেয়ার, স্মোক শেল ও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

দখলদার দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, গুলিবর্ষণের জবাবে রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলো ও বিমান সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর পর্যবেক্ষণ পোস্টগুলোতে আঘাত হেনেছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টাসহ এক দল ইসরায়েলি প্রতিনিধি সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছে।মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পর তা আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে আলোচনা করতেই তাদের এই সফর।

গত ১৩ আগস্ট মার্কিন মধ্যস্থতায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণার পর এই প্রথম ত্রিদেশীয় কোনো বৈঠক হতে যাচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, দূতাবাস খোলা, বাণিজ্য ও ভ্রমণের মতো বিষয়আশয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনার, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রেইন ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন উপদেষ্টা অ্যাভি বারকোইটজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ইসরাইলি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ভ্রমণে থাকবেন।

সফরে দখলদার দেশটির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন মেইর বিন-শাব্বাট। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় এসব তথ্য দিয়েছেন।

কুশনার, ও’ব্রেইন ও বারকোইটজের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে এক সিনিয়র কর্মকর্তা। সফরকারী দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ব্রিয়ান হুকেরও থাকার কথা রয়েছে।

তেলআবিব থেকে একটি ইসরাইলি বিমানযোগে মার্কিন ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা আবুধাবিতে যাবেন। দুই দেশের মধ্যে যেটি হবে প্রথম কোনো বাণিজ্যিক বিমানের ভ্রমণ। বিমান, বাণিজ্য, পর্যটন, আর্থিক, স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে দুই দেশের সহযোগিতা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। নেতানিয়াহু বলেন, এটি এক ঐতিহাসিক চুক্তি। এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশও আমাদের শান্তির দলের যোগ দেবেন বলে আশা করছি।

Scroll to Top