মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩ নভেম্বর। প্রথম ভারতীয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস (৫৫)। দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে ঐতিহাসিক এক মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। কমলা হ্যারিস বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত কৃষ্ণাঙ্গ ও ভারতীয় মিশ্রণের সিনেটর।
বিবিসি আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) জানিয়েছে, কমলা হ্যারিস জো বাইডেনের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটের ভাইরাস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন। এর আগের দিন দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনিত হন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আরও ইতিহাস সৃষ্টি হবে। প্রথম কোনো নারী দেশটির দ্বিতীয় শীর্ষ পদে যাবেন। আবার কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কোনো অশ্বেতাঙ্গ নারীর অভিষেক ঘটবে।
এদিকে, ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট দুই প্রার্থীকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, বাইডেনের নেতৃত্বে আমেরিকানরা নিরাপদ নয়। আর কমলা হ্যারিস তার চেয়েও খারাপ। ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তিনি (কমলা হ্যারিস) ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলে কী হবে, তার চেয়ে ট্রাম্পের ভারতীয় সমর্থক বেশি। তবে কিসের ভিত্তিতে তিনি এই দাবি করছেন তা জানানি ট্রাম্প।
জানা যায়, কমলা হ্যারিসের মা শ্যামলা গোপালান (ব্রেস্ট ক্যানসার বিজ্ঞানী) ছিলেন ভারতীয় এবং বাবা অধ্যাপক ডোনাল্ড হ্যারিস (স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির এমিরিটাস অধ্যাপক) ছিলেন জ্যামাইকান। এই প্রথম ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টি থেকে একজন আফ্রিকান ও এশিয়ান আমেরিকান নারীকে ভাইস প্রেসিডেন্টের মনোনয়ন দেওয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে এটি একটি বিশাল পদক্ষেপ।
এদিকে, কমলা হ্যারিসকে নিয়ে এর আগে বর্ণবাদী মন্তব্য করতেও শোনা গেছে ট্রাম্পকে। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসের মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক সংবাদ মাধ্যমের সামনে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের অংশগ্রহণের আদৌ যোগ্যতা আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ট্রাম্প বলেন, আমি শুনলাম তার নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতাই নেই। আমি জানি না এটি সত্য কিনা। আমার মনে হয় বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে পারবে ডেমোক্র্যাটরাই।