আবারও ওলি-চীন আঁতাত স্পষ্ট হলো ভারতের কাছে। দেশটির গণমাধ্যম বলছে, লাদাখের বদলে এবার উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরো সীমান্তের কাছে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে চীন। চীনের পক্ষ থেকে সেখানে ১৫০ লাইট কম্বাইনড আর্মস ব্রিগেডকে মোতায়েন করা হয়েছে। তিব্বত থেকে এনে তাদেরকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। যার জেরে নেপাল-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।
যদিও উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় চীন সীমান্ত বরাবর সতর্ক অবস্থানে ভারতীয় সেনা। এছাড়া উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর প্রধানকে স্যাটেলাইট ফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে লিপুলেখে এভাবে চীনের আস্ফালন বেশ ইঙ্গিতবহ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্গত কালাপানি, লিপুলেখ পাস ও লিম্পিয়াধুরা এলাকাকে নিজেদের সীমানার অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল নেপাল। এরপর সেই মানচিত্রে সিলমোহর দেয় নেপালের পার্লামেন্ট। ভারতের তরফে এই মানচিত্রকে খারিজ করে বলা হয়েছে, এটি একটি ইউনিল্যাটরাল অ্যাক্ট। যার কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই।
ভারতের তরফে তিব্বত সীমান্তে লিপুলেখ ও উত্তরাখণ্ডের সংযোগকারী ৮০ কিলোমিটার রাস্তা উদ্বোধন করেছিলেন রাজনাথ সিং। তারপরই মে মাসে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল। আর এরপর পিথোগড় জেলা বরাবর নেপাল সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল কাঠমান্ডু, যাতে উত্তেজনা বাড়ে। তবে এখন ফের বিতর্কিত এলাকা বরাবর চীনা সেনার বাহিনী মোতায়েন খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের ৩৪৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে চীন সীমান্ত। এর আগে বহুবার এই অঞ্চলে চীনা সেনার চোখ রাঙানি দেখা গেছে। সেজন্য ভারতীয় সেনা এবং ইন্দো-তিবেতান বর্ডার পুলিশ একযোগে ক্রমাগত পাহারা দিচ্ছে। চামোলি জেলার বরাহতি, মানা পাস, নীতি এবং মালারিতে ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে আইটিবিপি।
: ওয়ান ইন্ডিয়া।