\’\’গ্রাম থেকে আমার জন্য একটা কাঁঠাল নিয়ে আসিস।\’\’ অসুস্থ হওয়ার সপ্তাহখানেক আগে ছেলে অভিজিতের কাছে আবদার করেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী। অভিজিত মুখার্জী তখন কলকাতায়। তিনি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাঁঠাল নিয়ে বাবার কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
এক কোয়া কাঁঠাল খেয়ে হাসি ফুটেছিল ভারতীয় রাজনীতির চাণক্যের মুখে। অভিজিত মুখার্জী বলছিলেন, \’আমি ২৫ কেজির কাঁঠাল নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলাম। বাবা এক টুকরোই খেয়েছিল। বাবার তো ডায়াবেটিস আছে। তখন অবশ্য বাবা অসুস্থ ছিল না। তার সপ্তাহখানেক পরই বাবা অসুস্থ হয়।
প্রণব মুখার্জী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকার সময় থেকেই তার শারীরিক অবস্থা যাচাই করে আসছেন সেনাবাহিনীর ডাক্তাররা। দিল্লির আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতালে তার যে কোনও শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা হয়। অভিজিত মুখার্জী জানান, \’\’আমার সঙ্গে এর মধ্যে বাবার চারবার দেখা হয়েছে মাত্র। বাবা ডিনো, টাইসন, জ্যাকির কথা জিজ্ঞেস করত।\’\’ উল্লেখ্য, ডিনো, টাইসন, জ্যাকি মুখার্জি বাড়ির তিন পোষ্য। অভিজিত মুখার্জীর মেয়ে সুচিস্মিতা তাদের একটা সময় বাঁচিয়েছিল।
মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছিল ৮৪ বছর বয়সী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির। চিকিৎসকরা তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেছেন। প্রণব মুখার্জীর শরীরের করোনার উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, তার শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি।