মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে আটকে পড়া দুই হাজারেরও বেশি ভারতীয় নাগরিককে ফেরাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ফের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ থেকে অনেক ভারতীয় বাংলাদেশে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। করোনার কারণে ভারত-বাংলাদেশে লকডাউন শুরু হওয়ার পর মমতা সরকার স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশিদের ফিরতে দিলেও নিজের নাগরিকদের ফেরত নেননি।
আটকে পড়া ভারতীয়দের অভিযোগ, তারা প্রতিদিন হাইকমিশনে ফোন করলেও তেমন কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না। শুধু বলা হচ্ছে, ‘অনুমতি আসেনি।’
কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কয়েক সপ্তাহ আগেও ছয়টি বন্দর দিয়ে আটকে পড়া নাগরিকদের ফেরানোর আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিক্রম দোড়াইস্বামী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমাদের মিশন থেকে জানা গেছে ২ হাজার ৩৯৯ জন পেট্রাপোল-বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরতে চান। ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা দিয়ে ফিরতে চান আরও ২৮১ জন।’
বাংলাদেশে আটকে পড়া এই মানুষেরা অনেক কষ্টে আছেন। অনেকে বিভিন্ন স্কুলের বারান্দা এবং পাবলিক পার্কে দিন কাটাচ্ছেন বলেও জানানো হয় চিঠিতে।
আটকে পড়াদের ফেরাতে বিশেষ ট্রেন চালু করা যায় কি না সে ব্যাপারে আরেকটি চিঠি দেয়া হয়েছে ভারতীয় রেলের কাছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠি প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ পদস্থ এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের এই অনুরোধ বিবেচনা করে দেখছে এবং তাদের ফেরাতে কী করা যায় তার পরিকল্পনা করছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দেশে ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠার আগে আটকে পড়া ওই মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিষয়টি কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।’